বিশেষণ কথার অর্থ হল - যে বিশেষিত করে। বিশেষণ পদ দোষ, গুন, অবস্থা, ধর্ম, সংখ্যা, ক্রম, পরিমান ইত্যাদিকে বর্ণনা করে। বিশেষণ পদ বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়া, অব্যয় এমনকি নিজেকেও বিশেষিত করে।
যে পদ বিশেষ্য, সর্বনাম, ক্রিয়া, অব্যয় এমনকি নিজেকেও বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।
উদাহরণ :বিশেষণ পদ কোন পদকে বিশেষিত করছে তার ওপর ভিত্তি করে বিশেষণ পদকে যেমন ভাগ করা যায়, তেমনি বিশেষণ পদ কোন দোষ, গুণ, অবস্থা, ধর্ম, সংখ্যা, ক্রম ইত্যাদিকে বর্ণনা করে তার ওপর ভিত্তি করেও বিশেষণ পদকে ভাগ করা যায়। আমরা এখানে কয়েক প্রকার বিশেষণ পদ সম্পর্কে জানব
যে বিশষণ পদ বিশেষ্য পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, ধর্ম, পারমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষ্যের বিশেষণ বলে। যেমন -
বাগানে সুন্দর ফুল রয়েছে।যে বিশেষণ পদ সর্বনাম পদকে বিশেষিত করে, তাকে সর্বনামের বিশেষণ বলে। যেমন -
সুন্দর তুমি, অসুন্দরকে বিনাশ কর।যে বিশেষাপদ অব্যয় পদকে বিশেষিত করে, তাকে অব্যয়ের বিশেষণ বলে। যেমন -
আমার ঠিক পাশের মেয়েটি নীলাঞ্জনা।যে বিশেষণ পদ ক্রিয়াপদকে বিশেষিত করে তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন -
তাড়াতাড়ি সেখানে যাও।যে বিশেষণ পদ অন্য একটি বিশেষণ পদকে বিশেষিত করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন -
ঈশান খুব সুন্দর জামা পরেছে।যে বিশেষন পদের দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু ইত্যাদির সংখ্যা বোঝা যায়, তাকে সংখ্যাবাচক বিশেষণ পদ বলে। যেমন -
বাগানে দশটি আমগাছ রয়েছে।যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য বা সর্বনাম পদের ক্রমপ্রকাশ করে তাকে পূরণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন -
পরীক্ষায় সে প্রথম স্থান পেয়েছে।যে বিশেষণ পদ বিশেষ্য পদের পরিমাণ কে নির্দেশ করে, তাকে পরিমাণবাচক বিশেষণ বলে। যেমন -
পুকুরে অনেকটা জল আছে।