নবান্ন - অঘ্রান মাসে নতুন ফসল তোলার পরের উৎসব।
সুদর্শন - সুশ্রী।
নীড় - পাখির বাসা।
ধবল - সাদা।
'রূপসী বাংলা' কবিতাটি প্রকৃতি প্রেমিক কবি জীবনানন্দ দাশ-এর লেখা।
'রূপসী বাংলা' কবিতাটি 'রূপসী বাংলা' কাব্যগ্রন্থ থেকে গৃহীত।
'রূপসী বাংলা' কবিতাটি 'চতুর্দশপদী' বা সনেট কবিতা।
প্রকৃতি প্রেমিক কবি জীবনানন্দ দাশ মৃত্যুর পর পুনর্জন্ম নিয়ে ধানসিড়ি নদীর তীরে 'কার্তিকের নবান্নের দেশ' বাংলার সবুজ করুণ ডাঙায় ফিরে আসবেন।
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর 'রূপসী বাংলা' কবিতায় অনেক রকম পাখির নাম উল্লেখ করেছেন। সেগুলি হল -
১. শঙ্খচিল ২. শালিক ৩. ভোরের কাক ৪. হাঁস ৫. সুদর্শন ৬. লক্ষ্মীপেঁচা ৭. ধবল বক।প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর 'রূপসী বাংলা' কবিতায় তিনটি নদীর নাম উল্লেখ করেছেন।
১. ধানসিড়ি ২. জলঙ্গী ৩. রূপসা।রূপসী বাংলা কবিতাতে কাঁঠাল ও শিমূল গাছের নাম উল্লেখ আছে।
'রূপসী বাংলা' কবিতায় বাংলার নতুন ধানের উৎসব 'নবান্ন'- এর নাম উল্লেখ আছে।
' রূপসী বাংলা কবিতায় 'কার্তিকের নবান্নের দেশ' বলতে অখন্ড বাংলার কথা বলা হয়েছে।
প্রকৃতির কবি জীবনানন্দ দাশ জননী জন্মভূমি বাংলার নদী, মাঠ, খেত তথা তথা সমগ্র প্রকৃতিকে ভালোবেসেছেন। বাংলার প্রকৃতির রূপ-রস-গন্ধে মুগ্ধ কবি মৃত্যুর পরেও পুনর্জন্ম নিয়ে বাংলার প্রকৃতির কোলে ফিরে আসতে চেয়েছেন। কোন রূপে পুনর্জন্ম হবে- তা কারো পক্ষেই জানা সম্ভব নয়। কবিও তাই সংশয় প্রকাশ করে জানিয়েছেন মানুষ রূপে না হলেও মুক্ত বিহঙ্গ রূপে বাংলায় এসে বাংলার প্রকৃতিকে উপভোগ করবেন নিশ্চিত। হয়তো তিনি শঙ্খচিল কিংবা শালিকের বেশে জন্মভূমিতে ফিরে আসবেন। যদি তাও সম্ভব না হয় তাহলেও তিনি ভোরের কাক হয়ে কুয়াশার বুকে ভেসে কিংবা পুকুরে চরে বেড়ানো হাঁস হয়ে ফিরে আসবেন। আবার কবি জানিয়েছেন সন্ধ্যার বাতাসে উড়ন্ত সুদর্শন হয়ে কিংবা ধবল বক হয়ে অন্ধকার মেঘে সাঁতার কেটে ফিরে আসবেন আপন জন্মভূমিতে। কবি আরো জানিয়েছেন সরল নিষ্পাপ শিশু হয়ে উঠানের ঘাসে খই-এর ধান ছড়াবেন অথবা কিশোর রূপে ফিরে এসে রূপসার ঘোলা জলে ডিঙা বায়বেন।