পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের লেখা “রাখাল ছেলে” কবিতায় রাখাল ছেলে প্রকৃতিরূপী তার বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলছে। এই কবিতার মাধ্যমে কবি বাংলার এক শিশুর প্রকৃতিকে গভীরভাবে ভালোবাসার কথা তুলে ধরেছেন। রাখাল ছেলের কাছে গ্রাম মায়ের মতো। আকাশ, খোলা মাঠ, গাছপালা, পশুপক্ষী ইত্যাদি সব গ্রামীন পরিবেশ কিভাবে শিশুদের জীবনের সাথে নিবিড় ভাবে জড়িত রয়েছে তারই প্রকাশ পেয়েছে রাখাল ছেলের কথায়।
'রাখাল ছেলে' কবিতায় রাখাল তার বন্ধুর সাথে কথা বলছে।
রাখালের গ্রামটি সবুজ গাছপালায় ঘেরা।
'রাখাল ছেলে' কবিতায় রাখাল তার মায়ের সাথে থাকে।
তার মা একলা ঘরে বসে রাখালকে বাড়ি ফিরে আসার ডাক দিচ্ছে।
ঘুম হতে জেগে রাখাল দেখেছিল শিশির ঝরা ঘাসের উপর মিঠেল রোদ্র যেন হাসছিল।
ভোর বেলায় রাখাল ছেলে তার পশুদের নিয়ে মাঠে চলেছে।
‘রাখাল ছেলে’ কবিতায় রাখালের সথে খেলতে প্রভাত হাওয়াও সরষে ফুলের পাপড়ি নেড়ে ডাকছে।
জসীমউদ্দীনের ‘রাখাল ছেলে’ কবিতার রাখাল ছেলেটি ঘুম থেকে জেগেই দেখেছিল শিশির ঝরা ঘাসের উপর সূর্যের মিষ্টি রোদ পড়ে খুব সুন্দর লাগছিল। তারসাথে প্রভাত হাওয়া রাখালের সাথে খেলতে চাইছিল। সরষে ফুল তার পাপড়ি নেড়ে তাকে ডাকছিল।
জসীমউদ্দীনের ‘রাখাল ছেলে’ কবিতায় রাখালের সাথে প্রভাত হওয়া, সরষে ফুল, মটরশুঁটি ও সারা মাঠ খেলা করবে।
জসীমউদ্দীনের ‘রাখাল ছেলে’ কবিতার মটরশুটি রাখালের পা-দুখানি জড়িয়ে আর একটু তার সাথে খেলে যাওয়ার অনুরোধ করছে।
জসীমউদ্দীনের লেখা 'রাখাল ছেলে' কবিতায় কবি সকালবেলার এক মনোরম বর্ণনা দিয়েছেন। রাখাল ছেলে যখন গ্রাম ছেড়ে যাচ্ছিল তখন পূর্ব-আকাশে প্রভাত সূর্য রঙিন মেঘের নৌকার মতো দেখছিল। ঘুম থেকে জেগে রাখালের সারা রাতের স্বপ্নগুলো যেন শিশিরঝরা ঘাসের উপর মিষ্টি রোদে হাসছিল। সকাল বেলার প্রভাত হাওয়া রাখালকে খেলতে ডাকছিল। সরষে ফুলও তার পাপড়ি নেড়ে রাখালকে ডাকছিল।
জসীমউদ্দীনের ‘রাখাল ছেলে’ কবিতার কবি দিনের শেষে সন্ধ্যায় রাখালের বাড়ী ফেরার বর্ণনা করেছেন।
তিনি বলেছেন রাখাল সারাদিন মাঠে খেলা করা বা পশু চরানোর পর সে যখন প্রকৃতি মায়ের কাছ থেকে ফিরতে চায়, তখনো মটরশুঁটি তার পা-দুখান ধরে রাখতে চায়। সেটি বোঝাতে চাইছে তার সাথে আর একটু খেলে যেতে হবে। কিন্তু রাখালও সারাদিন খেলে ক্লান্ত তাই সে সকলকে বিদায় জানিয়ে বলেছে এবার সন্ধ্যা বেলায় কথা বলব, এই বলে সে বিদায় নিয়েছে।