ক) তরুলতা - গাছপালা ও গাছে জড়িয়ে থাকা লতা খ) চাইতে - অপেক্ষা গ) দলতে - মাড়াতে ঘ) দূর্বা - এক জাতীয় নরম ঘাস ঙ) কোমল - নরম চ) কমল - পদ্মফুল ছ) মরাল - রাজহংস জ) মরালী - রাজহংসী ঝ) বারি - জল ঞ) যাচে - চায় ট) দুর্দশা - খারাপ অবস্থা ঠ) মোরা - আমরা ড) অধিক - বেশি ঢ) দুখ - দুঃখ / কষ্ট ণ) গৌরব - সম্মান ত) পিতৃ - পিতা থ) পিতামহ - ঠাকুরদা দ) চরণধূলি - পায়ের ধুলো
নিম্নলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কী নামে পরিচিত?
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ছন্দের যাদুকর নামে পরিচিত।
বাংলাদেশে চলতে গেলে দূর্বা দলতে হয় কেন?
বাংলাদেশের সর্বত্র দূর্বা ঘাস জন্মায় বলে।
বাংলাদেশের কোন জিনিস সবচাইতে সবুজ?
বাংলাদেশের তরুলতা সবচাইতে সবুজ।
বাবুই পাখির বাসা দেখতে কেমন?
বাবুই পাখির বাসা দেখতে অনেকটা উল্টানো কুঁজোর মতো।
কোন পাখি জলের জন্য প্রার্থনা করে?
চাতক পাখি জলের জন্য প্রার্থনা করে।
কাদের চরণধূলি আমাদের দেশের মাটিতে মিশে আছে?
আমাদের পূর্বপুরুষদের চরণধূলি আমাদের দেশের মাটিতে মিশে আছে ।
বাংলাদেশ কবিতায় কোন কোন পাখির নাম উল্লেখ আছে?
বাংলাদেশ কবিতায় দোয়েল, শ্যামা, ফিঙে, বাবুই, চাতক, মরাল, ও মরালী পাখির নাম উল্লেখ আছে।
কবি বাংলাদেশ বলতে কোন দেশকে বুঝিয়েছেন?
কবি বাংলাদেশ বলতে অবিভক্ত বঙ্গদেশকে (পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ) বুঝিয়েছেন।
কবিতায় প্রশ্ন করেছে কে? উত্তর দিচ্ছে কে?
কবিতাটিতে প্রশ্ন করেছেন কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত এবং উত্তর দিচ্ছেন কবি নিজেই।
সোনার ফসল কী? কেন এরূপ তুলনা?
ধান হল সোনার ফসল। বাংলাদেশের মাঠে মাঠে প্রচুর ধান হয়। ধান পাকলে ধান ও গাছের রঙ সোনালি হয়। পাকা ধানে ভরা মাঠ দেখলে মনে হয় মাঠে কেউ যেন সোনা ছড়িয়ে দিয়েছে। কবি তাই ধানকে সোনার ফসল বলেছেন।
পদ্মফুলকে 'সোনার কমল বলা হয়েছে কেন?
পদ্মফুল দেখতে অতি সুন্দর। জলাশয়ে ফোটা পদ্মফুলের উপর যখন সোনালি সূর্যের আলো এসে পড়ে তখন সে দৃশ্যটি অতি মনোরম দেখায়। সোনা যেমন সুন্দর এবং চিক্ চিক্ করে, পদ্ম ও ঠিক তেমন চারিপাশ উজ্জ্বল করে রাখে। এইজন্য পদ্মফুলকে সোনার সঙ্গে তুলনা করে সোনার কমল বলা হয়েছে।
আমরা কোন্ কথা শুনে কেন দুঃখ পাই?
আমরা বাংলাদেশের অধিবাসী। এই দেশ আমাদের জন্মভূমি। এই দেশের জল হাওয়ায় আমরা লালিত-পালিত। তাই এই দেশের কোনো দুঃখ দুর্দশার কথা শুনলে আমরা মনে মনে খুব দুঃখ পাই।
কেন আমাদের বুক বেড়ে ওঠে?
আমাদের বাংলাদেশ এক মহান ঐতিহ্যের দেশ। এদেশে কত কীর্তি, কত ঘটনা ঘটেছে। সেইসব কীর্তি কাহিনি গৌরবজনক। আর এই সব গৌরবের কথা শুনে আমাদের বুক গর্বে ফুলে ওঠে।
পিতৃ-পিতামহের চরণধূলি এদেশে থাকায় কী হয়?
বাংলাদেশে আমাদের পূর্বপুরুষ বাস করেছেন। তাঁদের স্মৃতি বিজড়িত এই দেশ। আমরা তাঁদের শ্রদ্ধা করি, তাঁদের কীর্তি-কাহিনিতে আমরা গর্বিত হই। তাঁদের আশীর্বাদ নিয়ে আমরা জীবনপথে অগ্রসর হই। এদেশে তাঁদের চরণধূলি পড়েছে অর্থাৎ বাস করেছেন বলে আমরা গর্ববোধ করি।